২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে উদ্দীপনা এবং তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ করে ঈদের সময় মুক্তি হওয়া ‘বড় বাজেট’ সিনেমাগুলো দর্শক ও সমালোচক উভয়ের ধামাকা প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। নিচে এমন ১০টি সিনেমার তালিকা দেয়া হলো, যেগুলো এখন পর্যন্ত আলোচনায় রয়েছে:
১. বরবাদ (Borbaad)
শাকিব খান ও জিশু সেনগুপ্তের অভিনীত ইন্দো‑বাংলা প্রযোজনার ‘বরবাদ’ ঈদে মুক্তির পর দ্রুত সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রথম সপ্তাহেই উচ্চ আয় করেছে এবং IMDb’র World Popular Movies টপ‑১০০ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে (#44) । টেবিলভর্তি ভক্ত ও রাতারাতি মেট্রিক্স সিনে চালু হওয়া ‘মিডনাইট শো’ ছবিটির জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছে ।
২. দাগি (Daagi)
শিহাব শাহীন পরিচালিত, আফরান নিশোর অভিনীত ‘দাগি’ একইসঙ্গে বক্স‑অফিস ও সমালোচকদের কাছ থেকে সঁযোজন পেয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর সহযোগিতায় তৈরী এটি ঢাকাসহ ৩০টি স্ক্রিনে মুক্তি পায় ।
৩. তাণ্ডব (Taandob)
রায়হান রাফি পরিচালিত একটি রাজনৈতিক অ্যাকশন‑থ্রিলার, যেখানে শাকিব খান, জয়া আহসান ও সাবিলা নুর অভিনয় করেছেন। ঈদুল আযহায় মুক্তি পেয়ে ৬ মাসে ‘শত কোটির ক্লাবে’ প্রবেশ করেছে Wikipedia+1BanglaPulse+1।
৪. নীলচক্রো (NeelChokro)
মিঠু খানের থ্রিলার, যেখানে আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী প্রধান চরিত্রে। আন্তর্জাতিক দিবসে Golden State Film Festival‑এ প্রদর্শিত এবং ঈদে মুক্তি পেয়েছে Wikipedia।
৫. ইনসাফ: দ্য টেল অব লিজেন্ডস (Insaaf)
সঞ্জয় সোমাদের পরিচালিত অ্যাকশন‑থ্রিলার, যেখানে সারিফুল রাজ, মোশাররফ করিম ও তাসনিয়া ফারিন অভিনয় করেছেন। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি তার সিরিয়াস থিম ও শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে প্রশংসিত হচ্ছে ।
৬. উৎসব (Utshob)
তানিম নূরের কমেডি‑ড্রামা, যার মূল থিম এক পরিবারের গল্প। ঈদে মুক্তি পেয়ে ৯ দিনে ৫ কোটি টাকা আয় করে ‘ক্রো Klub’-এ প্রবেশ করে । প্রচার ও দর্শকের সাড়া উভয়ই ইতিবাচক।
৭. চক্কর ৩০২ (Chokkor 302)
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি রহস্য‑থ্রিলার, যার নায়ক মোশাররফ করিম। এটি সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে মুক্তি পায়, কিন্তু গল্প ও মননবলিকতায় সমালোচকদের প্রশংসিত Wikipedia।
৮. জঙ্গলী (Jongli)
মনিরুল রাহীম পরিচালিত, শাম ইহরাম ও প্রার্থনা ফারদিন মুখ্য ভূমিকায়। ঈদে মুক্তি পেয়েছে উচ্চ বাজেট নিয়ে, এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
৯. জিন্ন ৩ (Jinn 3)
কামরুজ্জামান রোমানের তৃতীয় পর্বের ভয়‑থ্রিলার, যেখানে শাজল নূর ও নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করেছেন। শুধু মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়ে দর্শকপ্রিয়তা ও লাভজনকতা লক্ষণীয় ।
১০. আন্তরাত্মা (Antaratma)
শাকিব খান ও দর্শনা বলেন অভিনীত, ঈদুল ফিতরে পরবর্তী সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। যদিও ‘বড়বাদ’-এর ছায়ায় পিছিয়ে গেলেও দর্শক আগ্রহ তেমন কমেনি ।