প্রচলিত আছে গ্ল্যামার জগতে একবার ঢুকলে বের হওয়া যায় না। তাইতো লাইট–ক্যামেরা–অ্যাকশন ছেড়ে অন্য পেশায় গেলে অনেকেই শুনে অবাক হন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক মডেলের পেশা পরিবর্তন তাই হয়েছে খবরের শিরোনাম। মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায় চুড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত গিয়েছিলেন এক তরুণী। তবে বর্তমানে গ্ল্যামার দুনিয়া ছেড়ে লরিচালক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মিলি এভব়্যাট নামের ওই তরুণী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে প্রথমে মিস লিঙ্কনশায়ার হন। এরপর মিস ইংল্যান্ড–২০২২ প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছে ফার্স্ট রানার–আপ হয়েছিলেন। বিজয়ীর মুকুট না জিতলেও মডেলিং ও অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে প্রচুর। বেশ কিছুদিন এই নতুন পেশা ভালোও লেগেছিল তাঁর। কিন্তু গ্ল্যামার জগতে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন না মিলি। নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে পারছিলেন না। তাই তো সব ছেড়ে ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ডেইলি মেইলের খবর অনুযায়ী, মিলির পরিবারের নিজেদের খামার রয়েছে। মিলির মা ও বোনেরা মডেলিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে নিজেদের খামার ব্যবসা দেখাশোনা করেন মিলির বাবা। বাড়ির লোকজনকে ছোট থেকে ফসল সরবরাহ করতে দেখেছেন। করোনার সময় সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ফসল এবং জিনিপত্র সরবরাহ করতে লরির চালক পাওয়া যাচ্ছিল না। ভেবেচিন্তে গত বছর লরি চালক হতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন মিলি।
ক্লাস ওয়ান এবং ক্লাস টু এইচজিভি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন মিলি এভব়্যাট। এর আওতায় ৪৪ টন পণ্যবোঝাই লরি চালানোর ক্ষমতা থাকতে হয়। সম্প্রতি সেই লাইসেন্স হাতে পান মিলি। এরপর গ্ল্যামার জগতকে বিদায় জানিয়ে লরির চালক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মিলি বলেন, ‘পুরুষ আধিপত্যের ইন্ডাস্ট্রিতে লরি চালিয়ে পণ্য সরবরাহ করে নারী হিসেবে আমার কিছু প্রমাণ করার আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমি লরির স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলে যদি নারীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে, তাহলে উদাহরণ হতে আপত্তি নেই।’
সব ছেড়ে মিলির লরিচালক হওয়ার সিদ্ধান্ত অনেককে হতবাক করেছে। তিনি আদৌ এই পেশায় টিকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে মিলির প্রশিক্ষক জানান, স্টিয়ারিং হাতে একেবারে স্বচ্ছন্দ তিনি। মিলি নিজেও জানিয়েছেন, তিনি পরিশ্রম করতে পারেন। স্টিয়ারিংয়ে হাত দিলে অদ্ভুত এক স্বাধীনতা অনুভব করেন। তাছাড়া পারিশ্রমিকও বেশ ভালো এই পেশায়।