কুতুপালং শরনার্থী শিবির হল বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত একটি শরণার্থী শিবির, যেখানে প্রতিবেশী মিয়ানমারে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমরা আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত দুটি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে এটি একটি, অন্যটি হচ্ছে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির।
কুতুপালংয়ের ইউএনএইচসিআর কার্যালয়টি সাতটি আন্তর্জাতিক সংঘ দ্বারা পরিচালিত হয়: ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং আইকেইএ ফাউন্ডেশনের প্রধান।
“কুতুপালং শরনার্থী শিবিরকে” সরকার-পরিচালিত শিবিরের পাশে অবস্থিত একটি অস্থায়ী শিবির হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, যদিও এটি কোন সরকারি শরণার্থী শিবিরের অংশ নয়। কুতুপালংয়ের অস্থায়ী শিবির এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা এটাকে বড় করে তুলছে। ২০১৭ সালে কুতুপালং অস্থায়ী শিবির এবং ঘুমদুম, বালুখালী, থংখালী এবং অন্যান্য এলাকার আশেপাশের শিবিরগুলি দ্রুতগতিতে জনাকীর্ণ হয়ে ওঠে এবং শরণার্থীতে ভরতে থাকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা কুতুপালং-বালুখালিকে সম্প্রসারণ স্থান হিসেবে সমষ্টিগতভাবে উল্লেখ করে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ থেকে আনুমানিক ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলমান ও হিন্দুরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে।
এই শরণার্থী শিবিরটি ১৯৯১ সালে অস্থায়ীভাবে যাত্রা শুরু করেছিল, যখন বার্মার সামরিক বাহিনী কর্তৃক অপারেশন পিয়ি থায়ার (অপারেশন পরিষ্কারকরণ ও সুন্দর জাতি) শিকার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছিল
জুলাই ২০১৭ অনুযায়ী উভয় শরণার্থী শিবির মিলিয়ে প্রায় ৩৪,০০০ শরণার্থী অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) বলেন যে উভয় শরণার্থী শিবির মিলিয়ে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৭৭,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুযায়ী, এই সম্প্রসারিত এলাকার জনসংখ্যা ছিল ৫,৪৭,৬১৬ জন, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিণত করে, এরআগে কেনিয়ার দাদাবে অবস্থিত শরনার্থী শিবিরটি ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২,৪৫,১২৬জন শরনার্থী নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।