• June 8, 2025

Chalachchitra

Explore the magic of Bengali cinema and culture

কমেডিয়ানের হিরোইজম

ByDidarul Islam Himel

Jan 5, 2024

আব্দুল্লাহ; পরিচালক: তোজাম্মেল হক বকুল; শ্রেষ্ঠাংশে: দিলদার, নূতন, জাভেদ, আবুল হায়াত, জহির উদ্দিন পিয়ার, আমির সিরাজী, আহমেদ শরীফ প্রমুখ; উল্লেখযোগ্য গান: কী করে বলব তোমায় আমি ভালোবাসি; মুক্তি: ৯ মে ১৯৯৭

১৯৯৭ সালের হিট ছবিগুলোর প্রথম কাতারে ছিল ‘আব্দুল্লাহ।’ দিলদার বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের এমন এক কিংবদন্তি যার নামটাই যথেষ্ট পরিচিতি ও কাজের জন্য। সেই দিলদার পুরোদস্তুর কমেডিয়ান থেকে নায়ক হয়ে ‘আব্দুল্লাহ’ ছবিতে অভিনয় করে ব্লকবাস্টার পর্যন্ত করিয়েছে সেটা তাঁর একক অর্জন ছিল।

ছবির বড় সাফল্যের জন্য যুক্তি দেয়া যেতে পারে দিলদারের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার। তাঁর জনপ্রিয়তা গ্রাম-শহর দুই জায়গাতেই সমান। দেশীয় ছবিতে কমেডিয়ান যারা ছিল যেমন- রবিউল, টেলি সামাদ, মতি, আফজাল শরীফ, কাবিলা তাদের থেকে দিলদার নিজের গুণে সেরা।

‘আব্দুল্লাহ’ ছবি দেখে সেই সময়ের দর্শকরা হাই কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল। দিলদার যে নায়কের কাজটা করে দেখিয়েছে সেটাই দর্শকের কাছে ভালো লাগার বিষয় ছিল। পত্র-পত্রিকাতেও লেখালেখি হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আফজাল শরীফ-ও আক্ষেপ করে বলেছিলেন যে তাকে কেউ নায়কের ভূমিকায় ছবি করতে বলল না। বোঝা যায় দিলদারের মতো তারও ইচ্ছা ছিল এ ধরনের ভিন্নধর্মী এক্সপেরিমেন্ট করার যা তার ট্র্যাকের বাইরে। তবে আফজাল শরীফের জন্য এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট টাফ হবে এটা বলাই যায়।

তোজাম্মেল হক বকুল বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’-র পরিচালক। তার ফোক-ফ্যান্টাসি ও ব্যতিক্রমী ঘরানার ছবিতে আগ্রহ বেশি ছিল। দিলদারকে ‘আব্দুল্লাহ’ ছবিতে আলাদাভাবে একটা পরিচিতি দেয়ার ক্রেডিট তাঁর। ছবির গল্প এক মেমসাহেবার কর্মচারী বা চাকর হয়ে তার প্রেমে পড়ার বাস্তবতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতি ফেস করা। ছবিতে দিলদারের নায়িকার ভূমিকায় নূতন-কে প্রথমত আপত্তিকর লাগে। তবে মেমসাহেবার ভূমিকায় বয়সে বড়ই ঠিক আছে তাও ঠিক। নূতনের ফিটনেস বা লুক তার সমসাময়িক নায়িকাদের থেকে আলাদা তাই দিলদারের সাথে মানানসই সম্পূর্ণ না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *